Sunday, September 6, 2009

চুল

আক্রান্ত হবার আগে অন্যকথা... আপনে-গোপনে
পর্দা-শৃঙ্খল, বেলা গুনে গেঁথেছি ক্ষত-নির্মিতকাল
আপনে-গোপনে বুকের ভেতর খুলে পড়ে জল
অপাঠ্য দেহছাল, শিথানে পৈতানে কিছু অনিচ্ছা
                                 রূপ ধরে আছে মনে-বিজনে

সদায় তাকিয়েছি ভেজাচুলে... মিশবার ইচ্ছে ও লোভে
ক্ষরানোর ছলে থাকছে না এইবেলা,কে সাহস জোগাবে?

নিজের ভেতর নিজেকে ভুলিয়ে রেখেছি, আশ-পড়শির পাশে
বেলায় বেলায় শাদা হবে চুল জড়িয়ে ধরা অন্যপ্রকাশে
                                                     জলে তেলে মিশে

মাথা

পেতেছি বালিশে শীত তাড়ানোর ছলে
শুয়ে থাকার গর্ব গুলিয়ে তুইও নিদ্রা তাড়িত হলে
যা জানিস ভেবে চিন্তে বলিস্ স্বপ্ন নাই- বা জাগালে

বুদ্ধির কোন অহংকার নেই, প্রয়োজন দৃশ্যময় লুপ্ততাড়না
হিতে বিপরীত হলি তুই; আত্নবোধে কমে না দুঃখ-বেদনা

যাবো চুপে তৃষ্ণার্ত বুকে, দেখবো কাঁচাজলের শিহরণ
ছিটা বৃষ্টিতে তরমুজের চাষ, শ্বাসের ভেতর ভেজা গুটিস্তন
না-ফোটাজলের ফাঁকে তুই একাকি হ’লি খানখান

কপাল

শীতরাত্রির পাশে যারা আমাকেও মিথ্যে রোমন্থনে
ফেলে রেখেছে তারাও জানে— কোথায়; কবে
কার তাড়া খেতে খেতে কার কথার লোভে স্বস্তি এলো মনে
কারণ নিয়তির দোষ দেবো না ভিনদেশে খেয়ে-পরে
নিজের ভেতর প্রশ্ন করি, কেন টানছি গ্লানি, শূন্যতা

তোমরাই প্রশ্ন করো? জানতে চাও! ভোঁতা জীবনের কথকতা
আমি শীত না-সহে তোমাদের কিভাবে বলি শৈত্য-অভিজ্ঞতা
সুখে তো ভালোই আছে, টেমস্ নদীর পাড়ে
শুধু তোমাদের জন্য দুঃখ ফোটাই দিবারাত্রিভোরে

টিপ

দেহে জেগে আছো জেনে শীতঘন বনে
অতি বিনয়ের সাথে তাকাতে হয় গোপনে
তোমার ভাষ্যমতে চোখের তৃষ্ণা দেহমনে
বশ এনেছি পুণ্ড্রবর্ধনের কাছে

দ্বিধায়-ত্রিধায় পুণ্ড্রহাওয়ায় চাপা দিতে দিতে
তাকেও নজরানা দেব রাত্রিগণকের হাতে

নিরলে তাকালে গোপনে তার ব্যাখ্যা, অদ্ভুদ সুন্দর!
সবই তো নিয়ম ভুলে যাওয়া কৃতি...স্থির প্রতিকৃতি
একদিন তোরও কপালে টিকলি পরাবো চিহ্ন... যতি
সোনালি রূপালি-গোলাপি টিপ পরাতে চাই সম্মতি

ভ্রু

চক্রাকারে ঘুরে তোমার প্রকাশ চোখের উপরে
দৃষ্টির মর্মভেদ শাসন হলো মগজের রাশটেনে
মান-অভিমান কিম্বা বির্নিমান লক্ষ্য রাখছ—
যাতে নিজ ছায়ার সাথে চোখ দুটি জাগে, কিন্তু
তোমার ভ্রূ’তে আই-ভ্রূ ছাড়া কিছুই দেখি না আগে

তোমার ইচ্ছে পূরণ, আমারি সরণি
পেরোবে হয়ত সবুজ সমীকরণ

এ-বসন্ত দিনে বনে বনে যত আয়োজন
মনেই থাকে না সরি! মনের ভেতর কার খবর্দারি
কার ঘনিষ্ঠতা কতটুকু তাও জিজ্ঞেস করিনি
সে-ও এখন মনপাখি, প্রিয়নারী, শাড়িবাসিনী

চোখ

চোখ গাঁথলাম চোখে গুপ্তনাম জমজ ভাই
চোখ ঘুমিয়ে গেলে ছোঁ-মেরে ঘুমকে জাগাই
তোমাকে মৎসরূপে ধরি... না-বলা এ টুকুই
অবশেষে চোখও স্বীকার করলো তাকানোর চেয়ে আর
আর কিছু সুন্দর হতে পারে না, চোখ স্বপ্নভর তোলপাড়
চোখ বন্ধ করে দেখি চোখের বিকল্প শুধু চোখ-
বাসনারস নিজেকে অস্থির করে তুলে, তাই না? সখি

সে দিন থেকে চোখের ফাঁদে পড়ে, দু-চোখ বুঁজে শুধু
চোখের সৌন্দয্য দেখি

নাক

বাহিরের দৃশ্য দেখে দেখে মিটে যাচ্ছে স্বাদ
এখন অপরাদ মেখে বেঁচে আছি শবদেহে
তোমার গতিবেগ ছুঁতে আরো কিছু দিন
শ্বাস টেনে টেনে ব্যবধান খুঁজে নেবো ব্যবধান
ভীষণ শীত আবিস্কার করি পীতে—
কেন এই নির্বাসন ঘুমের আবেশে
নাক টেনে টেনে জ্বলছে-নিভছে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ...
কষ্ট সহে এগুতে চাই, যা হোক; কিন্তু সংশয়!