দীর্ঘকাল ধরে অগ্রাহ্য ধারণাকে শোকে দুঃখে এমন কুশলী শিখিয়েছি বুঝলে...
নিদ্রাতাড়িত ভোরের প্রবাহ
নবান্নে এসে আত-পরিচয় যদি ধানগন্ধে উড়বার
স্বপ্ন দেখে চোখের গভীরে, আমার ফিরে আসা
জলের সন্ধানে বলছি না, শুকনো ঠোঁট কাঁপছে
গোপন পিপাসার জলে
তুমি কিছু ঘূর্ণণ প্যাঁচ খুইল্যা দাও ম্যাজিক
সেও পোড়াক অক্ষত আঙুলে আরো কিছু শোক
২.
সবই জানতেন তবুও ‘পায়ের চাপে তাদের করেছ ধূলি’
তোমাকে কীভাবে আর বলি ভিনদেশে নিজ হাতেই
রান্না-বান্না করি, গ্যাসচুলার ফাঁকে অসীম তৃষ্ণা একাকি
জ্বলে ওঠে শেষরাতে...আর খাওয়া-খাদ্যের অরুচি
আজ না-হয় তাক্! সে সব কথা হারানো পাঠনামা
যেমন না-জেনেও সুপ্তির ভেতর রাত্রিফুলগুলো দীর্ঘপথ
ঘুরে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে মুখশ্রীর শোকে; যা কিনা দেহের
রজস্বলা কালে খুলে নিতে পারো ছলে, কৌতূহলে
৩.
এখনো বলি- ভেঙ্গে পড়ুক, ঝরে পড়ুক কাচ;ওহো স্বতঃসিদ্ধি
তুমি না-এগুলেই ছদ্মবেশে তাড়া আছে আহতরোদে
অর্ধেক অংশমাত্র টাটকা বুকে তেতে ওঠা, জেগে ওঠা ধ্বনিতে
আঘাতে আঘাতে ভীতরোদ শুকাবে না আ-ঢাকা দেহে
এরকম ধারণাকে দীর্ঘকাল বানিয়েছি অপূর্ণস্বপ্ন; আমলকিপাতা
ঋণের দায়ে আমি ঋণি হলে তৃষ্ণা নিবারণে তুমি হৃদয় শূন্যতা
No comments:
Post a Comment