Sunday, September 6, 2009

বোবাসিরিজ

ক্ষণকাল বেঁচে থাকা শিশুবেলাকার টানে
বিশ্রী প্রয়োজনে আহা! নিঃসঙ্গ আযোজনে
আমাকে টেনে তুলো সখি প্রলয়ের দিনে
বলতে গিয়েও বলতে পারিনি, না বলার সুরাহা হয়ত ইটের গুড়াঁ প্লীজ কক্ষনো প্রশ্ন করো না তোমাকে বলতে গিয়ে চোখের আগে মুখে জাগে অম্লতা- কেউ যদি কেড়ে নেয় বিশ্বাস কেউ যদি জিজ্ঞেস করে না বলা কথা; কার তবে ব্যর্থতা... উঠুন গড়িয়ে রোদ নামবে তবু জোনাক বনে ফুটবে না শ্মশানচিতা। যদি পারো হ্নদি জলে খুলে রাখো নিস্পাপ আঁখি, জমিয়ে রাখা চশমার গুড়ো-গুড়ো ঘৃণা, একদিন লুপ্ত হবে সব স্মৃতি-প্রীতি অনাদিকারে ডুবে যাবে পরস্পরের বুক; জমজ বালিশের সান্তনা

আহা! ... কিছুই বলবো না তবু ,হলুদ সন্ধ্যে মানে এই তো বেলায় বেলায় কথকতা... তার মানে কি পিছনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা! আসন্ধ্যা-রাতে এখনো বাঁ পাজরে ব্যথা জমে, হাত পাতার ছলে জলসিঁড়ি বেয়ে আজো শিখিনি মূঢ়বার্তাপাঠ কিংবা হাতের তালুতে জাগা জলপাহারের রাত। কিন্তু তুমি জলজন্মে বৈষ্যম যাচো... যাচো ভাঙা-আয়না, পিঠে হাত রাখার অধিকার ভীমরতি খেলে যা-কিনা তুমি বলতে পারো দেহের কুশলতা।শরম ছেঁটে নিলে কার পাশে শোব, কার কাঁথায় লুকাবো মুখ; হাবুডুবু খেলা... তারচে ভালো- অনেক অনেক ভালো নিঃসঙ্গতা

রাত্রি ফুরাবে তাই ভোরের গন্ধ লাগে নাকে, ঘুম ভাঙলে চোখের উপরে গান করে পাখ-পাখালি; শীতল বাতাসে জানালার ফাঁক বেয়ে মনে হাজারো শূন্যগর্ভ কল্পনা জাগে... ভোরে তুমি আড়মোড়া ছেড়ে আনন্দে হাসো, পায়চারি করো স্নান ঘরের পাশে


শাড়ি পরা নারী নাকি নারী শাড়ি পরা? সে রহস্যেও জট খুলতে খুলতে আমাদের কেটে যেত অর্ধেক বেলা, গোলাপ দেখলেই বলতে এখন তোমাকে বলতে হবে কোনটি সদ্যফোটা? বলতাম তাকালেই হয় বুকের ভাঁজে গোলাপের পরাগ, শাড়ির ডোরা। লজ্জায় লাল হতো কার চোখ-মুখ দেহের চাপা ক্রোধে লুকিয়ে রাখতে কার দায়বদ্ধতা। মা শাড়ি পরে, সালোয়ার কামিজ পরো তোমরা; কখন তুমি কোমরে বেঁধে নেবে বলো শাড়ির কোঁচা


নিঃশ্বাসের ভেতর ঝরে যাবো স্বতন্ত্র সত্তায় এই ভেবে চিরকাল আত্ন-ভোলা ছবির মতো, আর তুমি নিজের ভেতর ভান ধরে তিড়বিড়ে হাসো দাঁতে কিড়মিড় করো...যেন সব স্বাদ তিতা ভুল বললে ক্ষমা হৃত-ব্যাকুলতা প্রেমজল নাকি জলে-প্রেমে হুলাহুলি করা, ঘোমরা মুখে চেটেপুটে খেয়েছো লাজ, রাগ ঢেকে বাজুতে রয়েছো খাড়া

ভুল হলে হাতের তালুতে জমা রেখো গ্রহণলিপ্ততা- আঘাত পেলেও তোমাকে ছাড়া কক্ষনো শুকাতে দেব না দুঃখযন্ত্রণা। শিয়রে জেগে আছি চুম্বনের টানে, সস্মতি ছাড়া কখনো চোঁব না দেহ স্পর্শজ্বালা। অলক্ষ্যে মুচড়ে ওঠে বুক; হাড়ে মেশানো করুণা। যা বলতে পারিনি তার জন্য আহত বুক ষোলআনা ব্যর্থভ্রমে তোমার মতো ক্ষুদ্রতম পাতাও চেপে ধরে বণেলা হাওয়া। মনের গোপন বিরূপতা যে অর্থে নেবে, অন্য অর্থে আমি হাবাগোবা


ওভাবে চলে যাওয়া মানে সান্ত্বনা হতে পারে না- কারণ বিপরীতে ফেটে পড়া ঢুলুঢুলু চোখ, শৈশবযন্ত্রণা হাত দিলে টোল খায় মোলায়েম গাল; চিকন-চাকন জলের পাশে তোমার নাকফুল আলিফের মতো খাড়া। ওষ্ঠে গোলাপি লিপষ্টিক একীভূত করে দেহের দু-পাশের হাওয়া। স্বত-হৃত এ বুক ঠুনকো আঘাতে ব্যথা পাবে না, শঙ্খা শুধু মনের শঠতা কিছু বলতে এসে ঝড়ো হাওয়ার পাশে ঠাই নিয়েছো তেপথীর মুখে, কেউ যদি ঠাওর করে লুটে খায় চোখের শরম নির্বাক হয়ো না গুপ্তদানা। হাঁটতে গেলে ক্লান্ত পায়ে লেগে থাকে ধূলি-বালি,ঘাসের গন্ধ দূর্বার কণা... একদিন পায়েরও বেঁড়ি বাঁধা হবে, সেদিনও আমরা হারাবো না নিজস্বতা

No comments:

Post a Comment